২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৯ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
প্রেমে রাজি না হওয়ায়’ চিরকুট লিখে স্কুল শিক্ষিকার ঘরে আগুন

প্রেমে রাজি না হওয়ায়’ চিরকুট লিখে স্কুল শিক্ষিকার ঘরে আগুন

অনলাইন ডেস্ক

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নাছরিন (৩১) নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে চিরকুট লিখে তার ভাড়া ঘরে আগুন দিয়েছেন দুর্বৃত্তরা। নাছরিন আলফাডাঙ্গা পৌরসভার চর নওয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

শনিবার রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় রোববার রাতে ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নাছরিন কাশিয়ানী উপজেলার শিবগাতী গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী। তিন সন্তান নিয়ে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার চর নওয়াপাড়া গ্রামে মাহামুদুল হাচানের বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকতেন।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পাঁচটি ফোন নম্বর থেকে প্রায় সময় ফোন দিয়ে প্রেম নিবেদনসহ কু-প্রস্তাব দিতেন। পরে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভয়ভীতি দেখায় তারা। গত ২ ফেব্রুয়ারি কোনো এক সময় বাড়ির বাউন্ডারিতে চিরকুট লিখে রাখে। সেখানে অশ্লীল ভাষা ব্যবহারসহ ঘরে আগুন দেওয়ার কথা লেখা ছিল।

বিদ্যালয় দুই দিন বন্ধ থাকায় নাছরিন গত ১৭ তারিখ বিকেলে স্বামীর বাড়ি চলে যান। ১৯ তারিখ বিকেলে বাসায় ফিরে দেখতে পান বাড়ির মূল ফটক ও ঘরের তালা ভাঙা। পরে ঘরে ঢুকে দেখতে পান তাদের ব্যবহৃত সমস্ত পোশাক, প্রয়োজনীয় মালামাল ও খাদ্য পণ্যসহ সব জিনিসপত্র আগুন দিয়ে পোড়ানো।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফিয়া পারভিন জানান, চিরকুটের ঘটনায় নাছরিনকে থানায় সাধারণ ডায়রি করতে বলেছিলাম তবে গ্রামের মাতুব্বররা বলেছিলেন বিষয়টি তারা দেখবেন।

বাড়ির মালিক মাহামুদুল হাচান বলেন, স্কুল শিক্ষিকা তিন সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকেন। দেওয়ালে চিরকুট লেখার বিষয়টি নিয়ে সেলিম শেখ নামে এক স্থানীয় মাতুব্বর বলেছিলেন তিনি বিষয়টি দেখবেন। যার কারণে আমি আইনের আশ্রয় নেইনি।

এ বিষয় নিয়ে জানতে সেলিম শেখকে একাধিক বার ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি, যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার দাবি করছি।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবু তাহের জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019